ফের বিতর্ক আধারকে ঘিরে। আধার ভিত্তিক প্রমাণ দাখিল করে বিনিয়োগকারীদের টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠল চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের বিরুদ্ধে।

আধার ভিত্তিক প্রমাণ দাখিল করে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক এবং ইউকো ব্যাঙ্ক বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠল। ব্যাঙ্কগুলির তরফে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের কাছেও জানানো হয়েছে। লোপাট হওয়া টাকার পরিমাণ এককোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ টাকা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় তথ্যও পেশ করেছেন অর্থ অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী শিবপ্রতাপ শুক্লা।
এমন একটা সময় এই তথ্য সামনে এল যখন, সুপ্রিম কোর্টে আধার আইনের বৈধতা নিয়ে শুনানি চলছে।
২০১৬ সাল থেকে আধারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে লোপাট হওয়া টাকার পরিমাণ

ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে তাদেরই বিজনেস করেসপন্ডেন্ট এই টাকা হাতানোয় অভিযুক্ত। আধারের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা হাতানো হয়েছে। আধারের অপব্যবহার করে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক থেকে তোলা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কের তদন্তে জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন নামের কার্ডের একই আধার নম্বর ছিল। ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, টাকা হাতাতে ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল। সেইজন্য আধার যাচাইয়ে এই মুহূর্তে ইউআইডিএআই-এর তথ্য যাচাই করছে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। এমনটাই জানিয়েছে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের এক মুখপত্র।
সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক প্রায় ২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে। বেশ কিছু ব্যাঙ্ক কর্মী এই টাকা হাতানোয় জড়িত ছিলেন।
অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বিজনেস করেসপন্ডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
একইভাবে ২০১৭-তে ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক ৯৫,২৫০ টাকা খুইয়েছিলেন।