হোম»সারাদেশ
মা-মেয়ে নির্যাতন : তুফানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট
বগুড়া অফিস০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ ইং ১৭:৩৮ মিঃ
মা-মেয়ে নির্যাতন : তুফানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট
বগুড়ায় এক শিক্ষার্থীকে ভালো কলেজে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ এবং পরে ওই শিক্ষার্থী ও তার মাকে মারপিটসহ মাথা ন্যাড়া করে  নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় শ্রমিকলীগের শহর শাখার বহিষ্কৃত আহ্বায়ক  তুফান সরকার, তার স্ত্রী, স্ত্রীর বড়বোন পৌর নারী কাউন্সিলর ও শ্বাশুড়িসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ।
 
বহুল আলোচিত এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ সোমবার বিকেলে আদালতে এই সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। সম্পূরক চার্জশিটে চিকিৎসক, আসামি এবং ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ডকারি ম্যাজিস্ট্রেটদের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে। 
 
অপরদিকে প্রধান অভিযুক্ত তুফান সরকারের শ্বশুর জামিলুর রহমান রুনু ও নাপিত জীবন রবিদাসের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। 
 
মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- কারাগারে থাকা শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক তুফান সরকার, তার স্ত্রী তাসমিন রহমান আশা, স্ত্রীর বড়বোন বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি, শাশুড়ি লাভলী রহমান রুমি, বন্ধুমেহেদী হাসান রূপম, আতিকুর রহমান আতিক, মো. মুন্না শেখ, আলী আজাদ দিপু, এমারত আলম খান জিতু এবং  সামিউল হক শিমুল । এদের মধ্যে শিমূল ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে, আর তুফানের শাশুড়ি লাভলী রহমান রুমি বর্তমানে জামিনে মুক্ত থাকলেও বাকি সকলেই জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। 
 
এরআগে গত বছরের ১০ অক্টোবর বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটির তদন্ত শেষে প্রথমদফা চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই অভিযোগপত্রে সাক্ষী হিসেবে ম্যাজিস্ট্রেটদের নাম বাদ পড়েছিল। ফলে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। 
 
সোমবার বগুড়ার শিশু আদালতে তুফান সরকার, আশা, মেহেদী হাসান রূপম, মার্জিয়া হাসান রুমকি, আতিক, মুন্না, দিপু ও জিতুকে হাজির করা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা লাভলী রহমান রুমি, জীবন রবিদাস ও জামিলুর রহমান রুনু আদালতে হাজিরা দেন। 
 
প্রসঙ্গত , নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর মা গত বছরের ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তুফান তার মেয়েকে কলেজে ভর্তি করে দেয়ার নামে গত বছরের ১৭ জুলাই সকাল ৮টার দিকে তার চকসুত্রাপুরের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তুফান তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং পরিবার নিয়ে দ্রুত অন্যত্র চলে যেতে বলে। বিষয়টি তুফানের সহযোগী আতিকের মাধ্যমে জানতে পেরে তার স্ত্রী আশা ক্ষুব্ধ হয়। তিনি তার বোন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রুমকি ও মা রুমির সঙ্গে পরামর্শ করে। গত ২৮ জুলাই দুপুরে রুমকির চকসুত্রাপুরের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মা ও মেয়েকে নির্যাতন এবং মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়।
 
ইত্তেফাক/ইউবি
 
এই পাতার আরো খবর -