বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা চলছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার পর দলটির নেত্রী খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়েনে শুরু হয় এই সভা। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মূল মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভা শুরুর পর স্বাগত ভাষণ দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয়। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এতে কমিটির ৫০২ সদস্য ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত রয়েছেন। দুই বছর পর জাতীয় নির্বাহী কমিটির এই সভায় সারাদেশ থেকে আগত নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে করণীয় চূড়ান্ত করা হবে। খালেদা জিয়া নেতাদেরকে দিক নির্দেশনা ও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিবেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। বেসরকারী টিভিগুলো সরাসরি বেগম জিয়ার বক্তব্য সমপ্রচার করতে পারবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারেন দলটির তিনটি সাইট থেকে এই সভা ও খালেদা জিয়ার বক্তব্য লাইভ সমপ্রচার করা হচ্ছে।
ফেসবুক পেজগুলো হলো:
facebook.com/bnplivenettv
দলীয় সূত্রে জানা যায়,রায়ে সাজা হলে কি কি করণীয় তা নিয়ে দলের নেতারা গত কয়েকদিন ধরে বৈঠক করছেন। নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,রাজপথে আন্দোলনে নামবেন তারা। রায়ের দিন আদালত এলাকায় বিশাল জমায়েত ঘটানো হবে। বেগম জিয়া সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও ২০ দলীয় জোটের শরিকদের নিকট থেকে ইতিমধ্যে পরামর্শ গ্রহণ ও তাদেরকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়া সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেন। একই সঙ্গে তিনি পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার আভাস দেন।
জোট ও দলের সকল বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হলে কঠোর আন্দোলনে নামার পাশাপাশি তাকে ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবেন না তারা। আজ নির্বাহী কমিটির সভায়ও একই সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। এছাড়া সভায় আগামী ৮ ফেব্রুযারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের দিন রাজপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কর্মসুচি নেয়া হতে পারে। উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিতে পারেন বেগম জিয়া।
ইত্তেফাক/কেআই