ভুবনেশ্বর: ১৩ মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল৷ শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ নাগাদ তিনি ছাড়া পেয়েছেন৷ ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
বেআইনি অর্থ লগ্নিকারী সংস্থা রোজভ্যালি থেকে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাপস পালকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভুবনেশ্বরের কারাগারে। সেখানেই এত দিন ছিলেন তিনি। তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় কটকের বিশেষ আদালত গত ১ ফেব্রুয়ারি,বৃহস্পতিবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।এক কোটি টাকার বন্ডে ও শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে ভুবনেশ্বর আদালত৷ কিন্তু নথি তৈরি না হওয়ায় এবং টাকা জোগাড় না হওয়ায় সেদিন আদালত থেকে ছাড়া পাননি তিনি৷ শনিবার রাত আটটা নাগাদ এক কোটি টাকা ও নথি জমা দেওয়ার পর তিনি মুক্তি পেয়েছেন৷
রোজভ্যালি আর্থিক দুর্নীতির খবর ফাঁস হওয়ার পর নাম উঠে আসে তাপস পালের। তিনি রোজভ্যালি সংস্থার চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ছিলেন। এই সংস্থা থেকে তাপস পাল প্রচুর আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন অভিযোগ। আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকেও, এমন অভিযোগ ওঠার পর সিবিআই তাপস পালকে জেরা করলেও তাপস পাল অস্বীকার করেন। পরে এই তৃণমূল সাংসদের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, তাপস পালের রোজভ্যালি থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বহু তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। এই আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন নগদ এবং ব্যাংকের মাধ্যমে। তাপস পালের গ্রেফতারের পর কয়েকবার জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা খারিজ করে দেন।
শনিবার জামিনে মুক্তির পর যে বেসরকারি হাসপাতাল তিনি ভরতি ছিলেন সেখান থেকে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷