মুম্বই: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মহারাষ্ট্রের হাজার হাজার তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত সরকারি কর্মচারিরা কাজ হারাতে চলেছেন৷ অভিযোগ,ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে তারা সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন৷ তাই কয়েক মাস আগে এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ১১ হাজার ৭০০ কর্মচারির নিয়োগ বাতিল করে দেয়৷
এদিকে শীর্ষ আদালতের রায়ের পর সাত মাস কেটে গিয়েছে৷ এখনও চাকরিতে বহাল আছে ভুয়ো প্রার্থীরা৷ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ফাঁপড়ে রাজ্য সরকার৷ এত বিপুল সংখ্যক কর্মচারিকে বরখাস্ত করতে গেলে যে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে তা বিলক্ষণ জানে রাজ্য সরকার৷ তাই বিকল্প পথে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করিয়ে চাকরি থেকে ছাটাইয়ের পক্ষপাতি নয় রাজ্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের একাংশ৷
কোটের নির্দেশ কিভাবে পালন করা হবে তা নিয়ে ধন্দে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা৷ কেননা একসঙ্গে এত কর্মচারিকে বরখাস্ত করা মুখের কথা নয়৷ সরকার যদি সেই কাজ করে দেখাতে পারে তাহলে তা হবে এযাবৎ সর্ববৃহৎ সরকারি কর্মী ছাটাই৷ এই বিপুল সংখ্যক কর্মচারির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তফশিলি ও তফশিলি উপজাতি কোটায় সরকারি চাকরি পেতে ভুয়ো সার্টিফিকেট বানিয়েছে৷ এদের মধ্যে অনেকই দু’দশকের বেশি সময় ধরে সরকারের বিভিন্ন দফতরের কাজ সামলেছেন৷ অনেকে আবার সামান্য ক্লার্কের চাকরি দিয়ে ঢুকে এখন ডেপুটি সেক্রেটারি পদে চলে গিয়েছেন৷
২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানায়, ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসসি/এসটি কোটায় ভর্তি অথবা চাকরির আবেদন করবে তাদের কাছ থেকে ডিগ্রি অথবা চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়৷ এই রায়ের পর মহারাষ্ট্রের ১১ হাজার ৭০০ কর্মচারির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে৷ অনেকেই রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ছুটে গিয়েছেন যাতে চাকরিটা টিকিয়ে রাখা যায়৷
যদিও আইনজীবি মহলের মতে, মহারাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারিদের বাঁচার কোন পথ নেই৷ তবে রাজ্য সরকার কোর্টের নির্দেশ মেনে চলার পক্ষপাতী৷ গত ২০ জানুয়ারি এক বৈঠকে মুখ্যসচিব ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তারা কোর্টের নির্দেশ মেনে চলতে আগ্রহী৷ আইন দফতর এবং এজি দুজনেই জানিয়েছেন, বিকল্প কোন পথ নেই৷ চাকরি থেকে তাদের বরখাস্ত করা ছাড়া৷
অন্যদিকে নাগপুরের বিজেপি বিধায়ক বিকাশ কুমভারে মুখ্যমন্ত্রী দেবেদ্র ফড়নবীশের সঙ্গে দেখা করে উপজাতিদের প্রতি অন্যায় না করা হয় তা খতিয়ে দেখার আবেদন জানান৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি সব ইউনিয়ন নেতার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন৷